শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

আপডেট
দুই সন্তান ফেলে প্রেমিকের সাথে চলে গেলেন মা,বিপাকে পরিবার

দুই সন্তান ফেলে প্রেমিকের সাথে চলে গেলেন মা,বিপাকে পরিবার

প্রেমিকের

আব্দুল হালিম, গফরগাঁও : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দুই সন্তানকে ফেলে রেখে ৩ মাসের শিশু সন্তান আর্ধিতাকে নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেলেন  শাহানাজ আক্তার (২৮) নামে তিন সন্তানের জননী এক নারী। বৃহস্পতিবার (০৯নভেম্বর) ময়মনসিংহের গফরগাঁও  উপজেলার ধোপাঘাট  গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ল অভিযোগ শোনা গেছে,  পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে মাসুদ নামে এক যুবকের সঙ্গে উধাও হয়েছে ওই মা। শিশু সন্তান ফেলে রেখে মায়ের চলে যাওয়া নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গফরগাঁও  উপজেলার ধোপাঘাট  গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে মানিক মিয়ার  সঙ্গে ১২ বছর আগে  পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী যশরা ইউনিয়নের  বখুরা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। একযুগে তাদের সংসারে ৩ সন্তানের জন্ম হয়। তাদের নাম রাখা হয় মুন্নী আক্তার, রোজা আক্তার, আর্ধিতা। স্বামী কৃষি কাজে বাড়িতে না থাকায় অচেনা যুবক মাসুদের  সঙ্গে প্রেমে লিপ্ত হয় শাহনাজ। পরকীয়ার জের ধরে বাড়ি থেকে নগদ কিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় শাহনাজ।  সিনেমার মত এই প্রেম কাহিনীর কাছে হার মেনেছে মায়ের মমতা।
 পরিবার  সুত্রে জানা গেছে,শাহনাজের হৃদয়হীনার মত  ছোট শিশুদের ফেলে চলে যাওয়ায় বিপাকে আছেন বাবা সহ বর্তমান  সন্তানপালনকারী দাদী এবং অন্যান্যরা। দাদি রহিমা বেগম  বলেন, ২ শিশু সন্তান মাকে না পেয়ে অঝরে কাঁদতে থাকে। মায়ের জন্য শিশুটির হাও মাও কান্নায় প্রতিবেশীরা কান্না করে। আমি খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ঘটনার দুইদিন পরবর্তীতে স্থানীয়দের পরামর্শে গফরগাঁও  থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।  শাহনাজের স্বামী  মানিক মিয়া বলেন বউকে উদ্ধারের জন্য একাধিকবার তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের কাছ থেকে কোন সারা মিলেনি। মাসুদ তার স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ভুলিয়ে নিয়ে চলে গেছে । তাদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। কেউ যদি তাদের কোথায় দেখে থাকেন গফরগাঁও থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান স্বামী।  এ ব্যাপারে গফরগাঁও  থানার ওসি ফারুক আহমেদ  বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূ নগদ টাকা ও গহনা নিয়ে পালিয়ে গেছে মর্মে তার স্বামী অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |